৯ পৌষ, ১৪৩১ - ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ - 23 December, 2024

আওয়ামী দুঃশাসনের অন্তরালে (আদুঅন্ত)

Elias Hossain
1 month ago
523

news-picture
আওয়ামী দুঃশাসন
পর্ব-২

প্রচারে: ভারতীয় হেজিমোনি ও আওয়ামিজমের বিরুদ্ধে লড়াইকারী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গর্বিত কিছু দেশপ্রেমিক সদস্য। কদমবুচি জেনারেল-১ ভয়ংকর অপরাধী মেজর জেনারেল মাহবুব ও মেজর জেনারেল জিয়া মিলে সেনা অভ্যুথানের ব্যর্থ চেস্টা ও অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলা প্রসংগে। বিএ-৪০৩০, মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মাহবুবুর রশিদ, ২৪ বিএমএ লং কোর্স প্রাক্তন জিওসি, ৫৫ পদাতিক ডিভিশন, যশোর বর্তমানে ডিজি, ডিজিডিপি Link: https://dgdp.gov.bd/officers-list ১। সরল সমীকরণ 👉 যারা আওয়ামী লীগপন্থী তারা ভারতপন্থী এবং তারাই ইসলাম বিদ্বেষী। এটি একটি সরল সমীকরণ। কোন অফিসার মুজিববাদে বিশ্বাসী আর সে ভারতপন্থী না এবং ইসলাম বিদ্বেষী না এটা হতেই পারে না। বাংলাদেশকে সিকিম বানানোর ভারতীয় এজেন্ডায় প্রধান বাধা বাংলাদেশের মানুষের ইসলামী চেতনা এবং দেশপ্রেমিক বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। বিস্তারিত জানতে হলে জুলকারনাইন সায়েরকে দেয়া মেজর জিয়ার সাক্ষাৎকার শুনে আসুন। তাই আওয়ামী সমর্থনে যেসব অফিসারের প্রমোশন হয়েছে এদের অধিকাংশই ইসলামবিদ্বেষী এবং ভারতপন্থী। সমীকরণটি হলো: আওয়ামীপন্থী = ভারতপন্থী = ইসলাম বিদ্বেষী মেজর জেনারেল মোহাম্মদ মাহবুবুর রশিদ এই সরল সমীকরণের একটি প্রোডাক্ট। ২। মেজর জেনারেল মাহবুব ২০২২ থেকে ২০২৪ এর আগষ্ট পর্যন্ত ৫৫ পদাতিক ডিভিশন এর জিওসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি পালিয়ে যাওয়া খুনী ও স্বৈরাচারিনি অবৈধ প্রধানমন্ত্রীকে পা ছুয়ে সালাম করেছেন। একজন সেনা অফিসার হিসেবে এর চেয় পদলেহনকারী আর কি হতে পারে? তাকে কাছ থেকে পর্যবেক্ষণ করা অনেকের ভাষ্যমতে এ জেনারেল মাহবুব সাহেব বরখাস্ত জেনারেল জিয়ার চেয়েও অধিক ভয়ংকর, তারা উভয়ই ২৪ বিএমএ লং কোর্সের একে অপরের কোর্সমেট। তিনি জিয়ার মত অথর্ব এবং মেধাহীন নন। তিনি অত্যান্ত যোগ্য ও খুনী হাসিনার খুব কাছের বিধায়ই অনেক বছর লন্ডনের ডিএ ছিলেন। তার ইআই লেভেল অনেক উন্নত। খুনী ও ট্রান্সজেন্ডার হাসিনা যেমন মিথ্যা, প্রতারনায় বিশেষ দক্ষ। এ জেনারেল তার চেয়েও মনে হয় বেশি দক্ষ। তিনি তার প্রতারণা ও জাদুময় কথার দ্বারা তার প্রিয় কিছু সেনা অফিসারদের নিয়ে যেকোন সময় একটা কু করে ফেলতে পারেন। জিয়ার একচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে কিন্তু তিনি আবার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ জন্যই হয়তো জিয়া রিমান্ডে হাসছেন যে তার বন্ধু তাকে উদ্ধার করবে আর এদের সাথে ডাইনি হাসিনার পালাতক পুলিশ, ডিবি, র‌্যাব, আনসার, SPBN ও আওয়ামিলীগ-ছাত্রলীগ ক্যাডাররা তো আছেই। শুধু কি তাই, সেনাবাহিনীতে যাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে সে সকল অফিসাররাও তার নেতৃত্বের আশায় হয়তো বসে আছেন। মনে রাখবেন হাসিনার প্রায় ফুল ক্যবিনেট ইন্ডিয়াতে আছেন। শুধু কেহ একজন এ নরম সরকারকে হালকা ধাক্কা দিলেই তারা আসতে পারেন। এক্ষেত্রে প্রতিবেশির ফুল সাপোর্ট পাওয়া তো নিশ্চিত। খুনী জেনারেল জিয়াকে আর্মিতে সবাই খারাপ জানে কিন্তু এ জেনারেলকে সবাই খারাপ জানেনা বরং তার একটা ভালো ফেস কভার আছে কারণ তার কর্মকাণ্ড অদৃশ্য থাকে এবং তিনি খুবই ধূর্ত ও চতুর প্রকৃতির । এটা অসম্ভব নয় এবং মোটামুটি নিশ্চিত করে বলা যায় যে, তার সাথে বাংলার ইতিহাসের সেরা ফেরআউনি হাসিনার সাথে এখনো যোগাযোগ আছে। ৫৫ ডিভিশনে থাকাকালীন তিনি তার প্রিয় অফিসারদের নিয়ে ছবি তুলে সরাসরি ডাইনি হাসিনাকে পাঠান এবং হাসিনা ফোন করে ছবির জন্য আনন্দ প্রকাশ করেন। সেনানিবাসের সকল অফিস থেকে খুনি হাসিনা ও তার সন্ত্রাসী বাপের ছবি নামানো হলেও তিনি নামান নি। তাকে সসম্মানে বিদায় দেয়া হয়েছে কিন্তু বিদায় বক্তব্যেও তিনি ছাত্র জনতার এ বিপ্লবকে গ্রহন করতে পারেন নি, নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন। খুনী হাসিনার সহযোগী ও পায়ে সালামকারী হিসাবেই অবশ্যই তাকে বরখাস্ত করা উচিৎ, তথাপি অধিকতর ন্যায় বিচারের সার্থে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো  তদন্ত করে দ্রুত ব্যাবস্থা নেয়া প্রয়োজন। ৩। ৫ আগষ্ট ২য় স্বাধীনতা লাভ হলো। ৬ আগষ্ট এই কদমবুচি জেনারেল লেবুখালীতে তার ডিভিশনের অধীনস্থ কমান্ডিং অফিসার লেঃ কর্নেল ফাহিম, ৯ বেংগল ল্যান্সারসকে আদেশ দিলেন সকল ব্যাটেল ট্যাংক প্রস্তুত করার জন্য। সাধারনত সকল ট্যাংক সচল থাকে না বা একত্রে কোথাও মুভ করে না কিন্তু ঐ দিন সকল ট্যাংক সচল করা হয়েছিল কোন প্রকার লিখিত আদেশ ছাড়াই। কোন এক সেনা সদস্য জিজ্ঞেস করলেন এগুলো কোথায় যাবে?  উত্তর আসলো ঢাকা যাবে। এমন স্পর্শকাতর সময় ট্যংক কোনভাবেই প্রস্তুত করার কথা নয়। সেনা সদস্যের সন্দেহ হলে তিনি তদন্ত করে জানতে পারলেন যে, ঐ ইউনিটের সিও ফাহিম যিনি কিলার ফাহিম নামে পরিচিতি লাভ করেছেন, তিনি খুনী জেনারেল জিয়ার খুবই কাছের লোক। জানা যায় তিনি জিয়ার আদেশে অনেক কিছুই করেছেন। জিয়া র‌্যাবে থাকাকালীন ফাহিমও ৪ বছর র‌্যাবে ছিলো। পরবর্তীতে ফাহিমকে নিয়েই জেনারেল জিয়া এনটিএমসির দায়িত্ব গ্রহন করেন যেখানে ফাহিম অপারেশন অফিসার হিসাবে নিয়োজিত থেকে জিয়ার সকল অপকর্ম কার্যকর করতো। সুতরাং জেনারেল জিয়া তার বিশেষ অনুগত ফাহিমকে আদেশ দিয়েছেন রেডি হয়ে ঢাকায় মুভ করতে। কারন সম্ভবত জিয়া ক্যু করে মার্শাল ল জারি করার পরিকল্পনা করেছিলেন এবং তার সাপোর্টে ফাহিমের ইউনিটের সকল ট্যাংক নিয়ে ঢাকায় হাজির হবার পরিকল্পনা করেছিলেন। বিষয়টি অতিদ্রুত তদন্ত করা প্রয়োজন। আশা করি অপারেটররা সঠিক তথ্য দিয়ে সাহায্য করবেন। ৪।‌ প্রশ্ন হচ্ছে জিওসি ৫৫ ডিভিশন মেজর জেনারেল মাহবুব কি জিয়ার ক্যু প্ল্যান জানতেন না? ৯ বেংগল ল্যান্সারের অপারেশন এলাকা এবং ইউনিট এলাকার প্রহরীর দায়িত্বে থাকা সেনা সদস্যদের কাছ থেকে জানা যায় যে জেনারেল মাহবুব ৫ আগষ্ট এর আগে অর্থাৎ সেনা মোতায়েনের পর থেকেই নিয়মিত বেংগল ল্যান্সার পরিদর্শন করতেন। অপারেশন এলাকা ছাড়াও ইউনিটে ফাহিমের সাথে দেখা করতে ৫ আগষ্টের আগে মেইন গেট দিয়ে আসতেন এবং পরবর্তীতে পিছনের গেট (গ্যারিসন মাসজিদের পাশ দিয়ে) আসতেন। যাই হোক, সাহসী ও বাংলার ইতিহাসের নতুন নায়ক  সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকারের দ্রুত সিদ্ধান্তে মেজর জেনারেল জিয়া বরখাস্ত হবার কারনে হয়তো বিষয়টি আর বাস্তবায়িত হয়নি। জাতি এক বিশাল হত্যাকান্ড থেকে রক্ষা পেয়েছে। কিন্তু এ ভয়ংকর স্বৈরাচারী ও তার সহযোগীরা কি থেমে আছে??? ৫। এই মেজর জেনারেল মাহবুব কে? ইনি খুনী ও ট্রান্সজেন্ডার হাসিনার দুই চোখের এক চোখ (Apple of her two eyes)। অন্য চোখ হলো খুনি মেজর জেনারেল জিয়া। জিয়া হলেন ফ্রন্ট ফাইটার আর মাহবুব হলেন গোপন ফাইটার অথবা ডিপ্লোমেটিক ফাইটার। কথিত আছে তার কৌশল ও জাদুময় কথার দ্বারা তিনি অফিসার ও সৈনিকদের মোহগ্রস্ত করে রাখেন। তিনি কারো উপর উত্তেজিত হলে সরাসরি আক্রমণ করেন না। পিছন থেকে আক্রমণ করেন। অত্যাচারিত ব্যাক্তি বুঝতেই পারবেন না যে ক্ষতিটা কে করেছে? বুঝলেও অন্যকাউকে বলতে পারবেন না, কারণ কেউই বিশ্বাস করবে না তার ভালো মানুষ ফেইস কভারের জন্য। হ্যাঁ অবশ্যই তার অনেকগুলো ভালো নেতৃত্বের গুন আছে। তার ইআই লেভেল অনেক উন্নত যা তিনি  অন্ধভাবে খুনী হাসিনা ও আওয়ামী লিগের সকল অন্যায়ের সহযোগীতায় ব্যয় করেন। তার পত্নীও তার চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে আছেন। তার জাদুময় কথার দ্বারা তিনি যশোর সেনানিবাসের অধিকাংশ অফিসার পত্নীদের মোহগ্রস্ত করে রেখেছিলেন। সরকারি টাকা খরচ করে অফিসার পত্নীদের এতো পরিমাণ গিফট দিতেন যে তারা খুশী না হয়ে কি আর পারে? অফিসার পত্নীদের ব্যাস্ত রাখার যত পরিকল্পনা তিনি বাসা থেকেই করতেন। আর তিনি সম্ভবত বিখ্যাত খুনী ও ছাত্রদের হত্যার হাসিনার আদেশ বাস্তবায়নকারী ওবায়দুল কাদেরের আত্নীয় এবং পুতুলের বান্ধবী। মাঝে মাঝে তাকে ইন্ডিয়া ভিজিট করতে দেখা যায়, হতে পারে চিকিৎসার জন্য!!! ৬। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, গোপালগঞ্জে আওয়ামী লীগ কর্তৃক সেনাসদস্যদের মার খাওয়ার দ্বারা এ তথাকথিত খুনী ও ট্রান্সজেন্ডার হাসিনার সহযোগী মাহবুবের মুখোশ উম্মুক্ত হয়ে যায়। যে ইউনিট মার খায় সেটা তার নিজের ইউনিট ১০ ইবি। এ ইউনিট গত প্রায় কয়েক বছর যাবত গোপালগঞ্জ এর জনগণকে সাপোর্ট দিয়েছে এ জেনারেল মাহবুব এর আদেশে। তারা মুজিব মন্দিরে পুজার সকল আয়োজন করতে বাধ্য হতো। যে কাজ সেনাবাহিনীর নয় সেগুলো সৈনিকদের দ্বারা করানো হতো। এ ইউনিটের সৈনিকরা গোপালগঞ্জে খুনি হাসিনা ও তার সহযোগীদের পুজার জন্য ঠিক মত ছুটি পেত না, এ দায়িত্বের কারনে অধিকাংশ সেনা সদস্যদের মন খারাপ হতো। এ সকল সৈনিকরা সেনা মোতায়েনের পর থেকে এ এলাকার জনগণকে নিরাপত্তা দিয়ে আসছে। তাহলে কোন কারনে তারা সেনা সদস্যদের উপর আক্রমণ করলো? প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে তারা ১০ বেংগলের সিও, মেজর রুশাদ ও অন্যান্য অনেক সেনাসদস্যদেরকে মেরে ফেলতে চেয়েছিলো, অস্ত্র কেড়ে নিয়েছিলো। অনেকের সন্দেহ যে, এ আক্রমনে জেনারেল মাহবুব এর হাত আছে। কারণ তিনি আগে সকল নেতাদের সাথে মিটিং করেছেন এবং ঘটনার পরেও তাদের সাথে আবার মিটিং করে  হাসিমুখে কথা বলেছেন ও নাস্তা করেছেন। সন্দেহের আরো কিছু কারণ হচ্ছে, সৈনিকরা আক্রান্ত হবার পর পরই মাহবুব তাদেরকে বলেন, জনতা তোমাদের উপর এতো ক্ষ্যাপা কেন?? সৈনিকরা উত্তেজিত হলে তিনি বলেন - তোমাদের আর বাহিরে ডিউটি করতে হবে না, ১৫ আগষ্ট পর্যন্ত অপেক্ষা করো। এছাড়াও সেনাপ্রধানের আদেশ সত্ত্বেও কেন তিনি সেখানে কোন একশন নেন নি?? ৭। অনেকের ভাষ্যমতে জেনারেল মাহবুব জেনারেল জিয়ার চেয়েও অধিক ভয়ংকর। তিনি তার প্রতারণা ও জাদুময় কথার দ্বারা তার প্রিয় কিছু সেনা অফিসারদের নিয়ে যেকোন সময়ে একটা ক্যু করে ফেলতে পারেন। জেনারেল জিয়াকে আর্মিতে সবাই খারাপ জানে কিন্তু এ জেনারেলকে সবাই খারাপ জানেনা কারণ তার কর্মকাণ্ড অদৃশ্য থাকে এবং তিনি খুবই ধূর্ত ও চতুর প্রকৃতির । খুনী হাসিনার সহযোগী ও পায়ে সালামকারী হিসাবেই অবশ্যই তাকে বরখাস্ত করা উচিৎ, তথাপিও অধিকতর ন্যায় বিচারের সার্থে নিম্নোক্ত বিষয় তদন্ত করা যেতে পারেঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়